যে কোন বিষয় বা বস্তুকে জানা হল জ্ঞান এবং, বিষয় বা বস্তুকে বিশেষভাবে জানাকে বিজ্ঞান বলা হয়। তাই জ্ঞান থেকেই বিজ্ঞানের জন্ম।
![]() |
ঋষি কণাদ |
আমাদের ভারতেও এমন অনেক ঋষি ছিলেন যারা ইতিমধ্যেই পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের কাছে পরমাণুর ধারণা দিয়েছিলেন। পরমাণুর নাম আসলেই ঋষি কণাদের নাম উঠে আসে। তিনি বলেছিলেন যে, কোনো বস্তুর সূক্ষ্ম অবস্থাকে পরমাণু বলে। কিন্তু এই পরমাণু পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের পরমাণুর ধারণা থেকে একেবারেই আলাদা ছিলো।
যেমন বলা হয় পরমাণু থেকে ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রনকে বের করা যায়। এমনকি তা থেকে মাইক্রো-মেসন, রেডন, জেনন, হেক্সনের মতো সাবএটমিক কণাও বের করা যায়। কণাদ তা বলে না। কানাদের মতে, পরমাণু হল পদার্থের সেই আণুবীক্ষণিক অবস্থা যা কোনো মতে ভাঙা সম্ভব নয়। কনাদ আরও বলেন, এই পৃথিবীতে তিন ধরনের নিউক্লিয়ার ম্যাটার আছে যা থেকে জলজ, বায়বীয় এবং কঠিন পদার্থ তৈরি হয়েছে। কথাটা শুনে নিশ্চয়ই অনেক হাসির রোল উঠেছে। কারণ আমরা ডাল্টন, রাদারফোর্ড, প্ল্যাঙ্ক, ম্যাক্সওয়েলের মতো বিদেশি বিজ্ঞানীদের ও থিওরি পড়ে অভ্যস্ত। যদিও উভয়ই থিওরি।