Ads



আমাদের ভারতে এমন একজন ঋষি ছিলেন যারা পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের মতোই পরমাণুর ধারণা দিয়েছিলেন

যে কোন বিষয় বা বস্তুকে জানা হল জ্ঞান এবং, বিষয় বা বস্তুকে বিশেষভাবে জানাকে বিজ্ঞান বলা হয়। তাই জ্ঞান থেকেই বিজ্ঞানের জন্ম।

Rishi Kanada
ঋষি কণাদ

বিজ্ঞান ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে। বিজ্ঞানের এই বিকাশে কিছু বিভ্রান্তি ছিল যা সময়ের সাথে সাথে সংশোধন করা হয়েছিল।  অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন একজন পশ্চিমা বিজ্ঞানী যিনি আমাদের আপেক্ষিক তত্ত্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, তার আগেই  আইজ্যাক নিউটন ভৌত বস্তুর গতিশীলতা বা অবস্থানগত বিষয়ে তার অবদান রেখেছিলেন। তারও আগে নিকোলাস কোপার্নিকাস সূর্য ও গ্রহের গতি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন।  জন ডাল্টনের পারমাণবিক মডেল আজও স্কুলে পড়ানো হয়। যা রাদারফোর্ডের পারমাণবিক মডেল থেকে অনুন্নত ছিল । 1920 সালে, নিলস বোর এবং ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক আধুনিক কোয়ান্টাম মডেল প্রবর্তন করেছিলেন, যা ডাল্টনের সেই প্রাথমিক  মডেলের সঙ্গে তুলনা করে উপহাস করা যেতে পারে। কিন্তু তা করা হয় না। কারণ তার সেই  প্রাথমিক  মডেলই পরবর্তী  ভৌত বিজ্ঞানকে দিশা দেখানো হয়েছিল।

আমাদের ভারতেও এমন অনেক ঋষি ছিলেন যারা ইতিমধ্যেই পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের কাছে পরমাণুর ধারণা দিয়েছিলেন। পরমাণুর নাম আসলেই ঋষি কণাদের নাম উঠে আসে। তিনি বলেছিলেন যে, কোনো বস্তুর সূক্ষ্ম অবস্থাকে পরমাণু বলে। কিন্তু এই পরমাণু পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের পরমাণুর ধারণা  থেকে  একেবারেই আলাদা ছিলো।

যেমন বলা হয় পরমাণু থেকে ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রনকে  বের করা যায়। এমনকি তা থেকে মাইক্রো-মেসন, রেডন, জেনন, হেক্সনের মতো সাবএটমিক কণাও বের করা যায়। কণাদ তা বলে না। কানাদের মতে, পরমাণু হল পদার্থের সেই আণুবীক্ষণিক অবস্থা যা কোনো মতে ভাঙা সম্ভব নয়। কনাদ আরও বলেন, এই পৃথিবীতে তিন ধরনের নিউক্লিয়ার ম্যাটার আছে যা থেকে জলজ, বায়বীয় এবং কঠিন পদার্থ তৈরি হয়েছে।  কথাটা শুনে নিশ্চয়ই অনেক হাসির রোল উঠেছে। কারণ আমরা  ডাল্টন, রাদারফোর্ড, প্ল্যাঙ্ক, ম্যাক্সওয়েলের মতো বিদেশি বিজ্ঞানীদের ও থিওরি পড়ে অভ্যস্ত। যদিও উভয়ই থিওরি।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন