Ads



বেদ কেমন পোষাক পরিধান করতে এবং শালীনতা বজায় রাখতে বলে?

কিছু ভদ্রলোকগণ বলেন, আমাদের দৃষ্টি সংযত রাখা উচিৎ, সুতরাং সে দায় আমাদের পুরুষদের। অনেক নারী মনে করেন, আমার দায়িত্ব আমার, আমি কেমন পোষাক পরিধান করবো সেটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, সমস্যা আপনাদের সুতরাং আপনারা(পুরুষ রা) সংযত হোন। আবার ব্যতিক্রমি নারীও আছে। যারা সেচ্ছাচারিতর নামে অশ্লীলতার বিরোধিতা করেন। অনেকেই একে ধর্মের সঙ্গে জড়িত করেন, অনেকে সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে দেন। এই সম্পর্কে আমাদের বেদ কি বলে?

Image by akeefsaikia from Pixabay

পবিত্র বেদ বলে,,

"অধঃ পশ্যস্ব মোপরি সন্তরাং পাদকৌ হর। মা তে কশপ্লকৌ দৃষান্তস্ত্রী হি ব্রহ্মা বভুবিথ।"

- ঋগ্বেদঃ- ৮.৩৩.১৯

অনুবাদ: হে পুরুষ ও নারী তোমাদের দৃষ্টি সবসময় হোক ভদ্র ও অবনত। তোমাদের চলন হোক সংযত, দেহ হোক পোষাকে আবৃত, নগ্নতা হোক পরিত্যাজ্য।

শালীনতা আসলে শুধু পোশাকে সীমাবদ্ধ নয় চিন্তায়, আচরনে, সর্বক্ষেত্রে বিনম্রতা বজায় রাখাই শালীনতা।

অশ্লীল কথা না বলা, শোনা বা দেখা নিয়ে পবিত্র বেদ এর উপদেশ,,

"ওঁ ভদ্রং কর্ণেভি শৃনুয়াম দেবা ভদ্রং পশ্যেমাক্ষ ভির্যজত্রাঃ।

স্থিরৈরঙ্গৈস্তুস্টুবাংসস্তনুভির্ব্যশেম দেবহিতং যদায়ু।।"

- ঋগ্বেদঃ- ১.৮৯.৮

অনুবাদঃ হে ঈশ্বর, আমরা যেন তোমার ভজন করি, কান দিয়ে শ্লীল ও মঙ্গলময় কথাবার্তা শুনি, চোখ দিয়ে শ্লীল ও মঙ্গলময় দৃশ্য দেখি। তোমার আরাধনাতে যে আয়ুস্কাল ও সুদৃঢ় দেহ প্রয়োজন তা যেন আমরা প্রাপ্ত হই।

"যে সকল নারী দেহ রূপ দেখিয়ে অপরের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই, তারা হায়েনার মত; তাদের পরিত্যাগ করো" - ঋগবেদঃ- ১০/৯৫/১৫

অপ্রিয় হলেও সত্য যে, প্রাকৃতিক মায়া শুধু মানুষ কেন, ইন্দ্রের মতো দেবতাও অতিক্রম করতে পারেননি।  তাই সকল নারী-পুরুষেরই উচিৎ, শুধু ব্যক্তিমাত্রিক চিন্তা বাদ দিয়ে সমাজমাত্রিক অবস্থান বিবেচনা করে নিজ নিজ সীমানায় আরো সংযত হওয়া। সেই সাথে অহিন্দুদের প্রতি বার্তা হলো, " বৈদিক শাস্ত্র হলো সর্বপ্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানব সংবিধান, যেখানে শালীনতার কথা কঠোরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে নারীকে পূজা করার কথা বলা হয়েছে। যেখানে নারীকে  সংরক্ষণ করতেই বলা হয়নি বরং নারীদেরকেও অস্ত্র দিয়ে জগতের রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে।" 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন